Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

“এক নজরে কার্যক্রম”

মহাদেবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়  এর বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্যঃ

নারীর অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন,নারীদের প্রতি সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নারী সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজে জড়িত করতে, জেন্ডার, নারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, অংশগ্রহন ও তাদের ভানেগ্যান্নয়ন সম্পর্কে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

(১) ভিডব্লিউবি কর্মসূচি(পূর্বের ভিজিডি): বাংলাদেশ সরকারের সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি (Safety net programme) দুঃস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে সক্ষম মহিলাদের উন্নয়ন স্থায়ীত্বের জন্য দুই বৎসর বা ২৪ মাস ব্যাপি প্রতি নারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি খাদ্যশস্য ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। মহাদেবপুর উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচির ২০২৩-২৪ চক্রের মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২০১৩ জন।

(২) মা  শিশু সহায়তা কর্মসূচি: বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের আওতায় ০ থেকে ৪ বছরের শিশুর পুষ্টিমান উন্নয়ন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য সমগ্র বাংলাদেশে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন হচ্ছে। উপকারভোগীরা প্রতিমাসে ৮০০ টাকা হারে ৩৬ মাস ভাতা প্রাপ্ত হন। মহাদেবপুর উপজেলায় প্রতি মাসে ১০৭জন সুবিধাভোগী হিসেবে এই কর্মসূচির অন্তর্ভূক্তি হচ্ছে।

(৩) মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম: বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিত্তহীন ও দরিদ্র মহিলাদের উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ‘‘মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম’’ কর্মসূচিটি ২০০৩-০৪ অর্থ বছর হতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। মহাদেবপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৯১ জনকে ১৮,৪৬,০০০/- টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

(৪) বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কার্যক্রমঃ

এই কর্মসূচির আওতায় দেশে বাল্যবিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে উপজেলা  ইউনিয়ন পর্যায়ে বাল্যবিবাহের কুফল 

বিষয়ে জনগণের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য য়মিত উঠান বৈঠক করা হয় এবং বাল্যবিবাহের অভিযোগ 

পেলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। জনসেচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১২টি উঠান বৈঠক করা হয়।


(৫) নারী  শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম: ১৯৮৬ সালে নির্যাতনের শিকার নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে সকল জেলা ও উপজেলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্ট্রোরাল কার্যক্রমের মাধ্যমে হেল্পলাইনের ১০৯ নাম্বারে তাৎক্ষনিকভাবে আইনী সহায়তা প্রদান। যেকোন মোবাইল হতে ২৪ঘণ্টা এই নাম্বারে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু তাদের পরিবারের সদস্যসহ যে কেউ প্রয়োজনীয় সাহায্য পেতে পারেন। মহাদেবপুর উপজেলায় উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং নির্যাতন ও পাচারের মতো ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। জনসেচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১২টি উঠান বৈঠক করা হয়।

(৬) স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নিবন্ধননবায়ন  অনুদান বিতরণ

নারীর ক্ষমতায়ন  উদ্যেক্তা তৈরীর লক্ষ্যে সেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনসমূহের নিবন্ধন প্রদান  নবায়ন এবং নিবন্ধিত সমিতিসমূহের মাঝে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর হতে বাৎসরিক এককালীন 

অনুদান প্রদান করা হয় যা নারীর অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করতে সাহয্য করে।


(৭) জয়িতা অন্মেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমঃ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক উত্তম চর্চা সমূহের মধ্যে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রম একটি। জয়িতা হচ্ছে সমাজের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীর একটি প্রতিকী নাম। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নির্দেশনায় প্রতিবছর ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে ৫টি ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত ৫জন শ্রেষ্ঠ নারীকে আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর) উৎযাপন কালে সম্মননা প্রদান করা হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারী তথা জয়িতাদের অনুপ্রাণিত করবে, সমগ্র সমাজ নারী বান্ধব হবে এবং এতে করে সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করবে।

জয়িতা নির্বাচনের পাঁচ ক্যাটাগরীঃ

(১) অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী

(২) শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী

(৩) সফল জননী নারী

(৪) নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী

(৫) সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী।

(৮) মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(WTC) দরিদ্র, অনগ্রসর নারীদের আত্ন-নির্ভরশীল ও দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে এ কর্মসূচির মাধ্যমে দর্জি ট্রেডে ৩মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রতি ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ৩০ জন। ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে।

(৯) আইজিএ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমঃ উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য “আয়বর্ধক কাজে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র, অনগ্রসর নারীদের আত্ন-নির্ভরশীল ও দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত হতে সহায়তা লক্ষ্যে ” মহাদেবপুর উপজেলায় (১) মাশরুম চাষ, ভার্মি কম্পোস্ট ও মৌ চাষ, (২) ফ্যাশন ডিজাইন দুটি ট্রেডে ৩মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতি ট্রেডে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ৫০ জন। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩০জুন ২০২৩ পর্যন্ত।

(১০)ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ণ কর্মসূচি: পরিবার ও সমাজের সহায়ক পরিবেশে কিশোর –কিশোরীদের সমাজ পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করতে কিশোর –কিশোরী ক্লাব পরিচালনা । বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানী রোধকল্পে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে ১০টি ক্লাবের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ১০টি ক্লাবের কিশোর কিশোরীর সংখ্যা ৩০০ জন।